নিজেকে ফিট রাখতে শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। আর ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো দৌড়। যদি সকালে দৌড়াতে পারেন তাহলে শুধু নিজেই ফিট থাকবেন না বরং বিভিন্ন রকমের রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারবেন। প্রতিদিন নিয়মিত ৩০মিনিট দৌড় সুস্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ দরকার। তবে দৌড় বিভিন্ন রকমের আছে। এর মধ্যে দূরপাল্লার দৌড়, যা খেলাবিশেষ, তাকে ইংরেজিতে ম্যারাথন বলে।
সাধারণত ম্যারাথন বা দূরপাল্লার দৌড়ে রাস্তা ব্যবহার করা হয় বলে, এটি রোড রেস বা রাস্তায় দৌড় খেলা নামে পরিচিত। প্রাচীন গ্রীক সৈনিক ফেইডিপ্পিডেস ম্যারাথনের যুদ্ধ জয়ের সংবাদ দৌড়ে এথেন্স নগরে নিয়ে এসেছিলেন। ম্যারাথনের যুদ্ধকে স্মরণীয় করে রাখতেই এ দৌড়ের নামকরণ করা হয় ম্যারাথন দৌড়।
ইচ্ছে হলো আর ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিলো, তা ঠিক নয়। এর জন্য নিতে হবে প্রস্তুতি
তবে ইচ্ছে হলো আর ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিলো, তা ঠিক নয়। এর জন্য নিতে হবে প্রস্তুতি। লিভারপুল জন মুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিষয়ক বিজ্ঞানী ড. মার্ক লেইক বলেছেন, ম্যারাথন দৌড়, শুধু দৌড় নয় বরং এটি বিরাট শারীরিক চ্যালেঞ্জ এবং কোনোরকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া ম্যারাথনে অংশ নেয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
অন্তত তিন থেকে ছয় মাস প্রস্তুতি নিতে হবে ম্যারাথন দৌড়ের জন্য। যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি ও শারীরিকভাবে সমর্থ নন, শরীরের গঠনে অসামঞ্জস্য আছে, আঘাতের পূর্ব রেকর্ড আছে- তাদের এমন দৌড়ে অংশগ্রহন না করাই ভালো। এতে শরীরের হাড়, মাসলস, লিগামেন্ট এবং ধমনীর ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হতে পারে।
অন্তত তিন থেকে ছয় মাস প্রস্তুতি নিতে হবে ম্যারাথন দৌড়েন জন্য.
তবে, যারা প্রতিদিন দৌড়ান, তাদের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচদিন দৌড়াতে হবে এবং প্রতিবার আগের চেয়ে সময় বাড়াতে হবে। আর অন্তত চার থেকে ছয় মাস এ ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। ম্যারাথনের আগের সপ্তাহ থেকে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে হবে, যাতে শরীর সেটা শক্তি হিসবে ব্যবহার করতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। সবশেষে, ম্যারথনের পর যথাযথ বিশ্রাম নেবেন।